প্রকাশিত: Tue, Jan 24, 2023 3:40 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 6:33 AM

অভ্র টিকে আছে, টিকে থাকবে মানুষের ভালোবাসায়

রাতিন রহমান : ভোগবাদী এই দুনিয়ায় সবই বিক্রি হয়, সবই ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত। এই থিউরিতে বিশ্বাস এনে এই দেশের নানাদিকে বেচা-বিক্রি হচ্ছে নানাকিছু। কিন্তু ব্যতিক্রম হয়ে রয়ে গেলো স্রেফ এই একটা সফটওয়্যার। ব্যবহারের সহজবোধ্যতা ও যুগান্তকারী রেভিউলিশন ঘটানোর প্রেক্ষিতে জনপ্রিয়তায় বর্তমান বাজারমূল্যে সম্ভবত হাজার কোটি টাকা দাম পেরিয়ে যাওয়া ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার এই সফটওয়্যারটি ২০০৩ সালে তৈরি করে বিনামূল্যে উন্মুত করে দিয়েছিলেন চিকিৎসক, প্রোগ্রামার ডা. মেহদী হাসান খান। তাঁর সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান অমিক্রন ল্যাব এরপর থেকেই এই সফটওয়্যারটি নিয়মিত আপডেট। 

আপগ্রেড করে আসছে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে। কোনো ধরনের ট্রেনিং বা কঠিন ম্যানুয়াল ছাড়াই যে কেউ যেকোনো সময়ে খুব সহজেই এই সফটওয়্যারটি পিসি বা মোবাইলে ইনস্টল করে এর সাহায্যে বাংলা লিখতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে একটি টাকাও খরচ করতে হবে না, এরজন্য আপনাকে কোনো বাধ্যবাধকতার মধ্য দিয়েও যেতে হবে না। মায়ের মুখের যে বুলিতে কথা বলার জন্য লেখার জন্য মনের ভাব প্রকাশ করার এই জাতি বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, সেই ভাষায় লিখতে কোনো টাকা-পয়সা খরচ করতে হবে না, বিনামূল্যে যখন খুশি তখন সেবা নিতে পারবেন এই সফটওয়্যারের, চারপাশের নানা সিন্ডিকেটধারী ধান্ধাশকুনদের ভিড়ে আজকের যুগে এমন অস্বাভাবিক উদারতা একেবারেই বেমানান। তবুও অত্যুজ্জ্বল এক বেমানান নক্ষত্র হয়ে থাকা মেহদী তাঁর অভ্র কি-বোর্ডে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন নিরলস। 

গত ৫০ বছরে বাংলা ভাষার উৎকর্ষসাধনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রাখা অভ্রকে একুশে পদক দেবার দাবিতে প্রতিবছরই সোচ্চার হয় নেটিজেনরা। একুশে পদক না পেলেও বাংলা ভাষায় সাম্প্রতিক যুগে লেখালেখিতে এক অবিস্মরণীয় বিপ্লব তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখা অভ্র টিকে আছে থাকবে মানুষের ভালোবাসায়, কৃতজ্ঞতায়। অভ্র ব্যবহার করুন, বাংলা ভাষায় লিখুন। ভাষা হোক উন্মুক্ত। অভ্রকে একুশে পদক দেয়াহোক। ফেসবুক থেকে